সরকারি স্কুলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। যেহেতু এখন ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ এবং ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন, তবুও নীতিমালার মূল বিষয়গুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
ভর্তির যোগ্যতা:
- বয়স: জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। এই নীতি অনুযায়ী, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স সাধারণত ১০ থেকে ১৩ বছর হতে হবে। তবে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য হতে পারে।
- সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) / ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির পদ্ধতি:
- ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সাধারণত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়।
- সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়।
আবেদনের নিয়মাবলী:
- আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (
) অনলাইনে আবেদন করতে হয়।https://gsa.teletalk.com.bd/ - আবেদনের সময় শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পছন্দের বিদ্যালয়ের তালিকা উল্লেখ করতে হয়।
- একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পছন্দক্রম দিতে পারে। ডাবল শিফটের বিদ্যালয়ে উভয় শিফট পছন্দ করলে ২টি বিদ্যালয় হিসেবে গণ্য হবে।
- আবেদন ফি সাধারণত টেলিটক বা অন্য কোনো অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যমের সাহায্যে পরিশোধ করতে হয়।
লটারি প্রক্রিয়া:
- ভর্তি কমিটির তত্ত্বাবধানে লটারির কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
- লটারির সময় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য ভর্তি কমিটির সদস্য এবং অভিভাবকদের উপস্থিত থাকার সুযোগ থাকে।
- লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
- শূন্য আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রস্তুত রাখা হয়।
ভর্তির সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি ও অনলাইন কপি।
- প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী/ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সনদ/মার্কশিট।
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি।
- শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন - মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সনদ)।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অনলাইনে আবেদন শুরু হয় এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে হয়।
- বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে।
- আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।
সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নীতিমালা এবং বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন