লক্ষ্মী পূজা ২০২৫ সালের ৬ই অক্টোবর, সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এটি হিন্দু চন্দ্র মাস অশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়। এই পূজা কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা নামেও পরিচিত, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং আসামে।
লক্ষীপূজা ২০২৫
লক্ষ্মী পূজা মূলত দেবী লক্ষ্মীর পূজা, যিনি ধন, সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী। এই দিনে, ভক্তরা দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তাঁর পূজা করেন এবং প্রার্থনা করেন যাতে তাঁদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
**লক্ষ্মী পূজার তাৎপর্য:**
* দেবী লক্ষ্মী ধন ও সমৃদ্ধির প্রতীক, এবং তাঁর আশীর্বাদ একটি ভালো বছরের জন্য কামনা করা হয়।
* বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ান এবং যে বাড়িতে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়, সেখানে তিনি প্রবেশ করে সম্পদ ও সৌভাগ্য দান করেন।
* পরিবারের মঙ্গল ও উন্নতির জন্য এই পূজা করা হয়।
* অনেক স্থানে, এই পূজা harvest season বা শস্য কাটার সময়ের সাথেও যুক্ত, যেখানে ভালো ফলনের জন্য দেবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
**লক্ষ্মী পূজার আচার:**
* পূজার দিনে, ভক্তরা তাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে এবং সুন্দর করে সাজান।
* বাড়ির প্রবেশপথে আল্পনা আঁকা হয়, যা দেবীর আগমনকে স্বাগত জানায়।
* সন্ধ্যাবেলা, লক্ষ্মী দেবীর প্রতিমা স্থাপন করে পূজা শুরু হয়।
* পূজায় ফুল, ফল, মিষ্টি, ধান, দূর্বা ঘাস এবং অন্যান্য সামগ্রী নিবেদন করা হয়।
* লক্ষ্মী মন্ত্র পাঠ করা হয় এবং দেবীর আরতি করা হয়।
* অনেক পরিবারে, এই দিনে বিশেষ ধরনের খাবার তৈরি করা হয় এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
* কিছু স্থানে, রাতে জেগে থাকার প্রথাও প্রচলিত আছে, বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মী রাতে ভ্রমণ করেন এবং জেগে থাকা ভক্তদের আশীর্বাদ করেন।
২০২৫ সালের লক্ষ্মী পূজা একটি বিশেষ দিন, যেখানে সকলে একত্রিত হয়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করবেন এবং তাঁদের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করবেন।
লক্ষ্মী পূজা ২০২৫ সালের ৬ই অক্টোবর, সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
লক্ষ্মী পূজা মূলত দেবী লক্ষ্মীর পূজা, যিনি ধন, সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী হিসেবে পূজিত হন। এই পূজা সাধারণত কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। মনে করা হয় এই দিনে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে আগমন করেন এবং ভক্তদের গৃহে প্রবেশ করে আশীর্বাদ দান করেন।
এই পূজা বাঙালি হিন্দুদের ঘরে ঘরে এক বিশেষ উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে। দেবীর আরাধনার পাশাপাশি নানা ধরনের লোক-সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়।
লক্ষ্মী পূজার তাৎপর্য অনেক। এটি শুধু আর্থিক সমৃদ্ধি কামনাই নয়, বরং জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য লাভের জন্য দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করা হয়। এই দিনে গৃহস্থরা তাদের ঘর-দোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সুন্দর করে সাজান, আলপনা দেন এবং সন্ধ্যায় দেবীর পূজা করেন। বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি ও নৈবেদ্য অর্পণ করা হয়।
পূজার শেষে দেবীর মন্ত্র পাঠ করা হয় এবং আরতি করা হয়। অনেক স্থানে এই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।
إرسال تعليق