আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় ২০২৪ :
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে বাচ্চা ছেলে না মেয়ে তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। আলট্রাসনোগ্রাম মূলত বাচ্চার শারীরিক গঠন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য করা হয়।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রামের ছবিতে বাচ্চার যৌনাঙ্গ স্পষ্ট দেখা গেলে অভিজ্ঞ ডাক্তার কিছুটা ধারণা দিতে পারেন। কিন্তু এটি কোনো নিশ্চিত তথ্য নয়। গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানার জন্য বাংলাদেশে আইনত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তাই, আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ছেলে না মেয়ে বোঝার চেষ্টা না করে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চেকআপ করান এবং বাচ্চার সুস্থতার দিকে দিন।
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে বাচ্চা ছেলে না মেয়ে তা জানার জন্য ২০২৪ সালে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তবে মনে রাখবেন, আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্পূর্ণরূপে নির্ভুল নাও হতে পারে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে। 50% ছাড়ে: ম্যাজিক ক-নড-ম বাংলাদেশি কন-ডম মেয়েদের কন-ডম দেখতে কিনতে ক্লিক করুন - এক্ষুনি কিনুন
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ছেলে বা মেয়ে চেনার কিছু উপায়:
- লিঙ্গীয় অঙ্গের স্পষ্ট চিত্র: সাধারণত ১৮-২২ সপ্তাহের মধ্যে আলট্রাসনোগ্রামে বাচ্চার লিঙ্গীয় অঙ্গ স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
- ছেলে হলে পেনিস এবং স্ক্রোটাম (ডিমকোষ) দেখা যেতে পারে। অনেক সময় একে "টার্টল সাইন"ও বলা হয়।
- মেয়ে হলে ভালভা (ল্যাবিয়া মেজর, ল্যাবিয়া মাইনরা এবং ক্লিটোরিস) তিনটি সমান্তরাল সাদা রেখার মতো ("হ্যামবার্গার সাইন") দেখা যেতে পারে।
- "নাб থিওরি" (Nub Theory): এটি গর্ভাবস্থার ১১-১৩ সপ্তাহের মধ্যে করা হয়। এই পদ্ধতিতে বাচ্চার স্পাইনের (মেরুদণ্ড) সাথে জেনিটাল টিউবারকলের (genital tubercle) কোণ দেখে লিঙ্গ নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়।
- যদি টিউবারকল স্পাইনের সাথে ৩০° বা তার বেশি কোণে থাকে, তবে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- যদি টিউবারকল স্পাইনের সমান্তরাল বা ১০° এর কম কোণে থাকে, তবে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম নির্ভরযোগ্য।
- "ডোম সাইন" (Dome Sign) : কিছু ক্ষেত্রে, ছেলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দুটি পায়ের মাঝখানে একটি ডোম আকৃতির গঠন দেখা যেতে পারে, যা স্ক্রোটাম এবং পেনিসের ইঙ্গিত দেয়।
- "স্যাজিটাল সাইন" (Sagittal Sign) : প্রোফাইল ভিউতে বাচ্চার স্পাইনের শেষ প্রান্তে একটি খাঁজ (caudal notch) দেখা যায়।
- যদি খাঁজটি উপরের দিকে (cranial) নির্দেশ করে, তবে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- যদি খাঁজটি নিচের দিকে (caudal) নির্দেশ করে, তবে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ব্যবহৃত প্রতীক : কিছু রিপোর্টে ছেলে বোঝাতে ♂ (মেল) বা B (বয়) এবং মেয়ে বোঝাতে ♀ (ফিমেল) বা G (গার্ল) এই ধরনের প্রতীক ব্যবহার করা হতে পারে। যদি রিপোর্টে M, F, U অথবা XX, XY লেখা থাকে, তবে ডাক্তার বা টেকনিশিয়ানের কাছ থেকে এর অর্থ জেনে নিন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে লিঙ্গ নির্ধারণের নির্ভুলতা বাচ্চার গর্ভকালীন বয়স, বাচ্চার অবস্থান এবং যিনি আলট্রাসনোগ্রাম করছেন তার দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
- গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে লিঙ্গ নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
- সবচেয়ে নির্ভরযোগ্যভাবে লিঙ্গ জানা যায় সাধারণত ১৮-২২ সপ্তাহের আলট্রাসনোগ্রামে।
যদি আপনার আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে, তবে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। তিনিই আপনাকে রিপোর্টের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। 50% ছাড়ে: ছেলেদের মেয়েদের লি- ঙ্গ ২ ইঞ্চি মোটা বড় করার কন -ডম কিনতে ক্লিক করুন - এখনই কিনুন
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে বাচ্চা ছেলে না মেয়ে তা বোঝা কিছুটা জটিল হতে পারে, তবে কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন, কেবলমাত্র একজন প্রশিক্ষিত ডাক্তারই আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে সঠিকভাবে বলতে পারবেন। এখানে কিছু সাধারণ ধারণা দেওয়া হলো:
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যা দেখা যেতে পারে:
- লিঙ্গ বিষয়ক চিহ্ন (Gender Markers) : সাধারণত, ১৮-২২ সপ্তাহের আলট্রাসনোগ্রামে বাচ্চার যৌনাঙ্গ স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
- ছেলে হলে স্ক্রোটাম (scrotum) এবং পেনিস (penis) দেখা যেতে পারে। অনেক সময় একে "টার্টল সাইন"ও বলা হয়।
- মেয়ে হলে ভালভা (vulva) এর অংশ, যেমন লেবিয়া (labia) দেখা যেতে পারে, যা অনেক সময় তিনটি সাদা রেখার মতো ("হ্যামবার্গার সাইন") দেখায়।
- "নুব থিওরি" (Nub Theory) : এটি তুলনামূলকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে (১১-১৪ সপ্তাহ) লিঙ্গ নির্ধারণের একটি চেষ্টা। এখানে বাচ্চার স্পাইনের (মেরুদণ্ড) সাপেক্ষে জেনিটাল টিউবারকলের (genital tubercle) কোণ দেখা হয়।
- যদি টিউবারকলটি স্পাইনের সাথে ৩০° বা তার বেশি কোণে থাকে, তবে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- যদি টিউবারকলটি স্পাইনের সমান্তরাল বা ১০° এর কম কোণে থাকে, তবে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এই পদ্ধতিটি একেবারে নির্ভুল নয় এবং পরবর্তীকালে নিশ্চিতকরণের প্রয়োজন হয়।
- রিপোর্টে উল্লেখ (Mention in Report) : কিছু আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সরাসরি বাচ্চার লিঙ্গ "পুরুষ" (Male) বা "মহিলা" (Female) অথবা "ছেলে" (Boy) বা "মেয়ে" (Girl) হিসেবে উল্লেখ করা থাকে। এছাড়াও M (Male) বা F (Female) অথবা একটি প্রতীকের (♂ বা ♀) মাধ্যমেও লিঙ্গ নির্দেশ করা হতে পারে। যদি রিপোর্টে "?" চিহ্ন থাকে, তার মানে লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- আলট্রাসনোগ্রামের ছবি এবং রিপোর্ট একজন অভিজ্ঞ radiologist বা sonologist ভালোভাবে দেখে তবেই লিঙ্গ সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা দিতে পারবেন।
- বাচ্চার অবস্থান, অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের পরিমাণ এবং আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের গুণাগুণের ওপরও লিঙ্গ কতটা স্পষ্টভাবে দেখা যাবে তা নির্ভর করে।
- অনেক সময় বাচ্চা এমন অবস্থানে থাকে যে কারণে লিঙ্গ নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সুতরাং, শুধুমাত্র রিপোর্টের ছবি দেখে নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়। আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট নিয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। তিনিই আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন